★মেয়েদের নয় দুঃখ গঠবে এবার সুখ '

মেয়েদের নয় দুঃখ গঠবে এবার সুখ '

হে কিশোরীরা! তোমরা কি জান? আজ তোমরা নিজ বাপের বাড়ীতে, কিন্তু আগামীতে
তোমাদের স্বামীর হাত ধরে শ্বশুরালয়ে যেতেই হবে। সে ব্যাপারে কিছু চিন্তাভাবনা
করেছো কি? সেখানকার লোকেরা কি তোমাদের ভুল-ত্রুটি চোখ ভুজে ধৈৰ্য্য ধরে


নিবে?না লাঞ্চনা দিবে? তোমাদের অপরাধ কি সুন্দর দৃষ্টিতে
ক্ষমা করে দেবে?
কখনও না। কখনও তোমার শ্বশুরবাড়ীর লোকেরা ভুল ত্রুটি ও অপরাধকে চোখ
বুজে মেনে নিবে না। এমনকি জীবন সঙ্গী যার হাত ধরে তোমাদের শ্বশুরালয়ে যাবে
তোমাদের প্রাণ প্রিয় স্বামী পর্যন্ত ও সহ্য করে নিবে না। মাতাপিতার মত কখনও
তারা আদরের দৃষ্টিতে দেখবে না। মাতাপিতার মত আদর সোহাগ পাওয়ার জন্য
স্বামীর বাড়ীতে অবশ্যই পথ রয়েছে। সেই লাঞ্চনা থেকে বাচার পথ হলঃ শ্বশুর
বাড়ীতে তোমাদের মানবতা,আদর্শতা ও সুন্দর ব্যবহার করতে হবে এবং নিজের
চাওয়া-পাওয়াকে ত্যাগ করে তাদের চাওয়া-পাওয়া, সুখ-শান্তির প্রতি লক্ষ্য করে নিজ যোগ্যতা, আদর্শতা,নম্রতা,ভদ্রতা ও গভীরতার প্রমাণ দেখাতে হবে। তাহলে
তখন তোমরা সুখ-শান্তি, আরাম-আয়েশে জীবন যাপন করতে পারবে এবং নিশ্চিন্তে,
আনন্দে নিঃশ্বাস নিতে পারবে ইশাআল্লাহ। স্বামীর কাজ কর্মের প্রতি ধৈর্য্য সহকারে
দাসীর মত ভূমিকা পালন করতে থাকবে। তখন দেখবে নিজ স্বামী একদিন না।
একদিন বন্ধুর প্রতি বাধ্য হয়ে যাবে। নববধু যখন কবুল বলে স্বামীর হাত ধরেছে,
তখন থেকে স্ত্রীর দায়-দায়িত্ব স্বামীর প্রতি। স্বামীর সুখই স্ত্রীর সুখ। এই কথা নব বন্ধু।
কেন, ইবলিশ ছাড়া অন্য কেউ অস্বীকার করে ফেলে দিতে পারবে না। স্বামীর হৃদয়
তখনই খুশী থাকে, যখন তার স্ত্রী তার জীবন পথের পছন্দনীয় প্রেমিকা হিসেবে সফর
সঙ্গিনী গন্য হয় এবং সর্বদা মনে প্রাণে তাকেই কামনা করে। যখন জ্ঞানী-গুনী,
আদর্শবান স্ত্রীরা স্বামীকে দেওয়ানা বানাতে পারবে, তখন থেকে স্বামী-স্ত্রী ধূলা বালির
পৃথিবীর বুকে জান্নাতবাসীদের মত শান্তিতে বসবাস করতে পারবে। যদি স্বামী-স্ত্রী,

স্ত্রী-স্বামীর প্রতি মায়াবী হয়৷ অন্যথায় সুখ-শান্তি, আরাম আয়েশ জিন্দেগীতে নসিবে জুটবে না ,আর সংসার তখন জাহান্নামের আগুনে পরিণত হবেI

তাই কিশোরীদের মঙ্গলের জন্য সর্ব প্রথম পিত্রালয়ে বসবাস করার জন্য সোনালী পদ্ধতি উপস্থিত করেছি।

যাতে করে তোমরা তোমাদের স্বামীর বাড়ীতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে অবগত থাকতে পার ৷ যদি উক্ত নির্দেশ দ্বারা নিজ স্বামীকে সাজাতে পার, তাহলে সে সংসারেই তুমি রাণী হয়ে জীবন যাপন করবে, এবং ঐ ঘরকে জান্নাত বানাতে পারবে।আর সকলেই তোমার গুণের প্রশংসা করবে।সঠিক ভাবে তোমার স্বামীর সংসার তুমি লালন-পালনের কারণে সকলেই তোমার মাতা-পিতাকে মোবারকবাদ জানাবে। তখন কেউ তোমার মনে আর কষ্ট দিবে না।পরিবার এবং বংশের সকলেই তোমার সাহায্যকারী ও সহযোগী হিসাবে- তোমার পাশে দাঁড়াবে ৷ সকলেই হয়ে যাবে তোমার অনুসারী৷ বিশেষ করে তোমার প্রাণ প্রিয় স্বামী তোমাকে নিয়ে করবে অহংকার৷ আর এটাই তোমার পাওয়া নারী জন্মের উপহার ৷ তোমার নারী জীবন এ খানেই সার্থক ৷

No comments

Powered by Blogger.